ওয়ারলেস্ কমিউনিকেশন সিস্টেম

Untitled-2-Recovered

কোন প্রকার তার ব্যবহার না করেই আদান-প্রদান তথা যোগযোগ করার পদ্ধতিকে ওয়ারলেস্ কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে। এর সাহায্যে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে অবস্থান করেই একে অন্যের সাথে বিভিন্ন প্রকার যোগাযোগ যেমন- কথা বলা,টেক্সট মেসেজিং,চ্যাটিং ইত্যাদি কাজ খুব সহজেই করতে পারে।

একাধিক ডিভাইসের মধ্যে কোন তারের সংযোগ ছাড়াই ডেটা ট্রান্সফার করার পদ্ধতিই হল ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম। এই সিস্টেম কয়েক মিটার থেকে শুরু কয়েক লক্ষ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় কার্যকরী হতে পারে। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে বাসায় ব্যবহূত বিভিন্ন রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, কম্পিউটারের ওয়্যারলেস মাউস ও কী-বোর্ড, ওয়াকিটকি, পেজার, সেলুলার ফোন, স্যাটেলাইট টেলিভিশন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের জন্য যে মাধ্যমগুলো ব্যবহৃত হয় তা হল –

  1. রেডিও ওয়েভ কমিউনিকেশন tenor
  2. মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশন microwave
  3. ইনফ্রারেড কমিউনিকেশন

HeartyNiftyGlobefish-max-1mb

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের প্রয়োজনীয়তাও অনেক। যেমন –

  1. যেসব স্থানে খুব দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হয় সেসব ক্ষেত্রে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম সবচেয়ে বেশী উপযোগী।
  2. নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত যে কোন স্থানে ওয়্যারলেস ডিভাইস সহজে বহন করা যায়।
  3. নেটওয়ার্কের মধ্যে যে কোন স্থান থেকে বা ভ্রমণরত অবস্থায় ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করা যায়।
  4. পোর্টেবল বা অস্থায়ী ওয়ার্কস্টেশনের সাথে সংযুক্ত হওয়া যায়।
  5. একটি ডিভাইস অনেক ব্যবহারকারী একইসাথে শেয়ার করতে পারে। ওয়্যারযুক্ত ডিভাইসের মত সংযোগ সংখ্যা সীমিত নয়।
  6. ওয়্যার সংযোগের জটিলতা, স্থান পরিবর্তন ও অতিরিক্ত ব্যয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

 

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের সুবিধা:

  • তারের দুরত্গত সমস্যা আছে যা ওয়্যারলেস মাধ্যমে সহজে দুর করা যায়
  • যেখানে তার মাধ্যম ব্যবহার করে ডাটা সঞ্চালন অসুবিধা সেখানে ওয়্যারলেস মাধ্যম সুবিধাজনক
  • ডিভাইস বহনযোগ্য হলে সংযোগ পদ্ধতি সহজ
  • ইহা নয়েজের প্রভাবমুক্ত
  • ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের অসুবিধা:
  • ওয়্যারলেস প্রতিবন্ধকতায় ডাটা চলাচলে বাধার সম্মুখীন হয়।
  • ওয়্যারলেস প্রতিবন্ধকতায় নেটওয়ার্কের দক্ষতা কমে যায়।
  • অনুমোদনহীন ব্যক্তিদ্বারা আক্রমনের আশংকা থাকে
  • তারযুক্ত নেটওয়ার্কের তুলনায় গতি কম।
  • ইহা জীববৈচিত্রের জন্য হুমকিস্বরুপ

 

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম ৪ প্রকার

  1. (Wireless Personal Area Network – WPAN)
  2.  (Wireless Local Area Network – WLAN)
  3. (Wireless Metropolitan Area Network – WMAN)
  4. (Wireless Wide Area Network – WWAN)

 

(Wireless Personal Area Network – WPAN)voiceband1.jpg

ক্ষুদ্র পরিসরে সীমাবদ্ধ একাধিক ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যকার নেটওয়ার্ককেই পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা যাবে ।
ডাটা ক্যাবল দিয়ে কানেকশন পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কের একটি সুন্দর উদাহরণ ।
পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তারযুক্ত বা তারবিহীন হতে পারে, তারবিহীন হলে তাকে ওয়্যারলেস পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN) বলা হয়, ব্লুটুথ (Bluetooth) ওয়্যারলেস পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কের একটি উদাহরণ । ওয়্যারলেস পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কের আরও কিছু

tenor (1).gif

উদাহরণ-
ওয়াই-ফাই (Wi-Fi)
ইনফ্রারেড ডাটা এসোসিয়েশন (IrDA), ইত্যাদি

(Wireless Local Area Network – WLAN):

WALAN

ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা, WLAN একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারবিহীন তথ্য বিতরণ পদ্ধতি; কার্যত, ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব অ্যাক্সেস পয়েন্টের (APN)  মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে। এটি ওয়াই ফাই এর মাধ্যমে একটি সীমিত সীমার মধ্যে কাজ করে।এজন্য প্রত্যকে কম্পিউটাররে সাথে একটি মডেম সংযোগ করত হয়। এই পদ্ধততি ৫০ এমবি পর্যন্ত ডাটা প্র্রেরণ করা যায়।

(Wireless Metropolitan Area Network – WMAN):

WMAN.gif

WMAN (Wireless Metropolitan Area Network) হলো একটি Wi-Max টেকনোলজি, যার সাহায্যে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তারবিহীন ব্যবস্থায় ফিক্সড ও মোবাইল ইন্টারনেটে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে। ওয়াই-ম্যাক্স প্রযুক্তিগতভাবে IEEE-802. 16 নামে পরিচিত। ওয়াই-ম্যাক্সের তারবিহীন নেটওয়ার্ক কাভারেজ এরিয়া ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

(Wireless Wide Area Network – WWAN):

9.gifWiMax

এই পদ্ধতিত অধিক  পরিমান  ডাটা প্রেরন করা যায়। ইহা বর্তমান সময়ের  জনপ্রিয় পদ্ধতি। বাংলাদেশে  যে সমস্ত ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে তাহলো Qubee, Banglalion, ollo ইত্যাদি।

ওয়্যারলেস প্রযুক্তির ব্যবহার:

১) মোবাইল ফোন: সবথেকে জনপ্রিয় ওয়্যারলেস ডিভাইস হল মোবাইল ফোন। যাকে আমরা সেলুলার ফোন বলে থাকি। সারা পৃথিবীতে প্রায় ৫.২ বিলিয়ন মোবাইল ব্যবহারকারী আছে।  ২) ওয়্যারলেস ডাটা সংযোগ: মোবাইল কম্পিউটিং-এর অন্যতম উপাদান হলো ওয়্যারলেস ডাটা কমিউনিকেশন। যেমন WiFi। ৩) কম্পিউটারে: আমরা কম্পিউটারেবিভিন্ন তথ্য ধারণ ও প্রেরণ করতে ব্লুটুথ ইন্টারফেস ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি।

ব্লুটুথ (Bluetooth)

bluetooth.gif

ক্ষুদ্র পাল্লার জন্য প্রণীত একটি ওয়্যারলেস প্রোটোকল। এটি ১-১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে ওয়্যারলেস যোগাযোগের একটি পদ্ধতি। ব্লুটুথ-এর কার্যকরী পাল্লা হচ্ছে ১০ মিটার। তবে বিদ্যুৎ কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে এর পাল্লা ১০০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ব্লুটুথ ২.৪৫ গিগাহার্টজ-এ কাজ করে। ৯০০ খ্রীস্টাব্দের পরবর্তী সময়ের ডেনমার্কের রাজা Harald Bluetooth-এর নামানুসারে এই প্রযুক্তির নামকরণ করা হয়েছে। ব্লুটুথ ১.০-এর তথ্য আদান-প্রদান-এর সর্বোচ্চ গতি ছিল সেকেন্ডে ১ মেগাবিট। বর্তমানে ব্লুটুথ ২.০-এর সর্বোচ্চ গতি হল সেকেন্ডে ৩ মেগাবিট।

ব্লুটুথ প্রোটোকল বাস্তবায়নকারী যন্ত্রাংশ বা ডিভাইসগুলি দ্বিমুখী সংযোগ স্থাপন করে কাজ করে। বর্তমানে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, গেমিং কনসোল, ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, ল্যাপটপ, জিপিএস রিসিভার প্রভৃতি যন্ত্রাদিতে ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। এই প্রযুক্তিতে খুব কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। এটি ক্ষুদ্র পাল্লার বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়।

কিভাবে কাজ করে

ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে কম ক্ষমতা বিশিষ্ট বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হয়। এই যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ২.৪৫ গিগাহার্ট্‌জ (প্রকৃতপক্ষে ২.৪০২ থেকে ২.৪৮০ গিগাহার্ট্‌জ-এর মধ্যে)-এর কম্পাংক ব্যবহৃত হয়। শিল্প, বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রের জন্য উপরিউক্ত কম্পাংকের সীমাটি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল যে ব্লুটুথ অন্যান্য তরঙ্গ নির্ভর যন্ত্রের কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করে কিনা? উত্তর হল “না”। কারণ ব্লুটুথ কর্তৃক প্রেরিত সিগন্যালের ক্ষমতা থাকে মাত্র ১ মিলিওয়াট, যেখানে সেল ফোন ৩ ওয়াট পর্যন্ত সিগন্যাল প্রেরণ করে। অর্থাৎ ব্লুটুথের নিম্ন ক্ষমতার সিগন্যাল উচ্চ ক্ষমতার সিগন্যালে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে না।

ব্লুটুথ একসাথে ৮টি যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ সাধন করতে পারে।তবে প্রত্যেকটি যন্ত্রকে ১০ মিটার ব্যাসার্ধের একই বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত হতে হয়, কারণ ব্লুটুথ প্রযুক্তি চারিদিকে সর্বোচ্চ ১০ মিটার পর্যন্ত ক্রিয়াশীল থাকে।এখন প্রশ্ন যে, A যন্ত্রের সাথে B যন্ত্রের যোগাযোগের সময় কাছাকাছি অবস্থিত অপর দুটি যন্ত্র C ও D-এর মধ্যের ব্লুটুথ যোগাযোগ ব্যাবস্থা বাধাগ্রস্থ হয় কিনা?(কেননা দুই যন্ত্রযুগলই একই কম্পাঙ্কের ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে)উত্তর হল “না”। কারণ এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্লুটুথ একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে যা কিনা “spread-spectrum frequency hopping” নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে একই সময়ে একাধিক যন্ত্রযুগল একই কম্পাঙ্ক ব্যবহার করে না।ফলে একে অপরের যোগাযোগ ব্যাবস্থাতে বাধার সৃষ্টি করে না। এ পদ্ধতিতে কোন একটা যন্ত্র নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অবস্থিত কম্পাঙ্ক হতে ৭৯ টি পৃথক পৃথক কম্পাঙ্ক এলোমেলোভাবে গ্রহণ করে ও একের পর এক পরিবর্তন করে। ব্লুটুথের ক্ষেত্রে, ট্রান্সমিটার প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ বার কম্পাঙ্ক পরিবর্তন করে।ফলে একাধিক ভিন্ন ভিন্ন যন্ত্রযুগলের মধ্যে একই সময়ে একই কম্পাঙ্ক-এর তথ্য প্রেরণ অসম্ভব বললেই চলে।

Class সর্বোচ্চ অনুমোদিত হ্মমতা সীমা
(আনুমানিক)
মিলিওয়াট (mW) ডেসিবেল (dBm)
প্রথম শ্রেণী ১০০ mW ২০ dBm ~১০০ মিটার
দ্বিতীয় শ্রেণী ২.৫ mW ৪ dBm ~১০ মিটার
তৃতীয় শ্রেণী ১ mW ০ dBm ~১ মিটার

বেশির ভাগ হ্মেত্রে দ্বিতীয় শ্রেণীর ডিভাইসের কার্যকরী সীমা সর্বাপেক্ষা ঘটনেতে প্রসারিত করা হয় যদি তারা প্রথম শ্রেণীর transceiver তে সংযোগ করে, একটি নিখাদ দ্বিতীয় শ্রেণীর নেটওয়ার্কে তুলনা করেছে। এইটি উচ্চতর সুবেদিতার দ্বারা সম্পন্ন করা হয় এবং প্রথম শ্রেণীর ডিভাইসের প্রেরণ অধিকারী।

Version Data rate Maximum application throughput
ভার্সন ১.২ ১ মেগাবিটস/সেকেন্ড ০.৭ মেগাবিটস/সেকেন্ড
ভার্সন ২.০ + এনহ্যান্সড ডাটা রেট ৩ মেগাবিটস/সেকেন্ড ২.১ মেগাবিটস/সেকেন্ড
ভার্সন ৩.০ + হাইস্পিড ২৪ মেগাবিটস/সেকেন্ড See Version 3.0+HS.
ভার্সন ৪.০ See Version 4.0LE.

 

ব্লুটুথ নামটি এলো কোথা থেকে?

অনেকের মনেই হয়ত এই প্রশ্নটি জেগেছে। আশ্চর্য জনক হলেও এই নামটি এসেছে এক সময়ের ডেনমার্কের ভাইকিং রাজা  হেরাল্ড ব্লুটুথ(Harald Bluetooth) এর নামানুসারে। ৯৫৮ থেকে ৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের ভাইকিং রাজা ছিলেন হেরাল্ড ব্লুটুথ। ডেনমার্ক এবং নরওয়ের কিছু অংশকে একত্র করে একটি দেশের আওতায় আনতে পেরেছিলেন তিনি।

বিগত শতকের ৯০ দশকে যোগাযোগ স্থাপনকারী একটি টেকনোলজি এর প্রয়োজন হয়ে পরেছিল। বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসে কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি তৈরি করতে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিখ্যাত ইন্টেল, নোকিয়া, এরিকসন ও ছিল। কিন্তু তারা সবাই-ই আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছিল। এই বিভক্ত হয়ে, সকলে পৃথকভাবে চেষ্টা করার মধ্যে অশনিসংকেত দেখেছিলেন অনেকে। বিশেষত জিম কার্ডাখ। ভিন্নভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড, প্রটোকলের ফলে কোম্পানি গুলোর মাঝে রেষারেষি যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তেমনি জটিলতার মাত্রা যাচ্ছিল ছাড়িয়ে। যে কয়টি সংস্থা আদাজল খেয়ে বাজারে নেমেছিল, তাদের একত্র করার উদ্যোগটা জিম কার্ডাখ নিয়েছিলেন।  অনেকটা সেই ভাইকিং রাজা হেরাল্ড ব্লুটুথের ভূমিকায়। প্রতিযোগী সবপক্ষকে একত্র করার কাজটা বিগতযুগে হেরাল্ডই করে দেখিয়েছিলেন! আর গত ৯০-এর দশকে কার্ডাখ।

ব্লুটুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
এই প্রযুক্তিতে তথ্য প্রেরণ করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তাই যে কেউ তথ্য প্রেরণ করতে পারে।তবে আগত কোন তথ্য গ্রহণকারীর অনুমতি সাপেক্ষে গৃহীত হয়।ফলে গ্রহণকারীর সিদ্ধান্তের উপর নিরাপত্তা নির্ভর করে। তাই গ্রহণকারীকে সাবধান থাকতে হবে। কেননা আগত তথ্য কোন ভাইরাসও হতে পারে।এছাড়াও “Bluejacking”, “Bluebugging” and “Car Whisperer” প্রভৃতি সমস্যাও ব্লুটুথের নিরাপত্তা ব্যাবস্থাকে অনিশ্চিত করে।এসব সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত ব্লুটুথ সম্বলিত যন্ত্রের ফার্মওয়্যার আপগ্রেড করা উচিত, কেননা ফার্মওয়্যার-এর নতুন নতুন সংস্করণ সদ্য আবিষ্কৃত নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির সমাধান দেয়।

ওয়াই-ফাই Wi-Fi (Wireless Fidelity) 

wifi.jpg

একটি জনপ্রিয় ওয়্যারলেস প্রযুক্তি হচ্ছে Wi-Fi যার সাহায্যে রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেটসহ কম্পিউটারের লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। Wi-Fi শব্দটির সত্ত্বাধিকারী সংস্থা Wi-Fi Alliance এর একটি ট্রেডমার্ক টার্ম যা দিয়ে IEEE 802.11. স্ট্যান্ডার্ডের যে কোন Wireless Local Area Network (WLAN) যন্ত্রপাতিকে  বুঝানো হয়।

Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করে ল্যাপটপ পিসি, ট্যাবলেট  পিসি, স্মার্টফোন ইত্যাদি পোর্টেবল ডিভাইস ফিক্সড ডিভাইস ডেস্কটপ পিসির সাথে সংযুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে পারে।

WiFi এর বৈশিষ্ট

  • ওয়াই-ফাই যোগাযোগ ব্যবস্থায় উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সী রেডিও ওয়েব ব্যবহার করা হয়।
  • WiFi ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়।
  • এটি ওয়ারলেস Local Area Network IEE802.11 এর জন্য (Institute of Electrical and Eletromics Enginners) প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড।
  • কর্ডলেস টেলিফোনের ন্যায় বিভিন্ন পোর্টেবল ডিভাইস ও  ফিক্সড ডিভাইসের নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়।
  • এর কাভারেজ এরিয়া একটি কক্ষ, একটি ভবন কিংবা কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হতে পারে।
  • হটস্পট গুলোতে এটি ব্যবহার করা যায় এবং এর কাভারেজ খুব বেশি এলাকায় পাওয়া যায় না।

 Wi-Fi এর সুবিধা:

  • নেটওয়ার্কের জন্য কোন লাইসেন্স বা কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
  • ওয়্যারলেস হওয়ায় পোর্টেবিলিটির সুবিধা পাওয়া যায়।
  • Wi-Fi ডিভাইস ওয়্যারযুক্ত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারে।
  • Wi-Fi প্রযুক্তির ডিভাইসের ব্যয় ওয়্যারযুক্ত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের তুলনায় কম।
  • Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়।
  • যে সকল স্থানে তারের সংযোগ দেয়া সম্ভব নয় সে সকল স্থানে সহজেই Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়।

Wi-Fi এর অসুবিধা:

  • Wi-Fi এর কভারেজ এরিয়া অল্প জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ঘরের মধ্যে 32 মিটার এবং খোলা জায়গায় 65 মিটার পর্যন্ত হতে পারে। যা রেডিও ওয়েভ ফ্রিকুয়েন্সির উপর নির্ভর করে দ্বিগুন পর্যন্ত হতে পারে।
  • ভ্রমণরত অবস্থায় Wi-Fi এর সাহায্যে কাজ করা যায় না।
  • ডেটা ট্রান্সফার ধীরগতি সম্পন্ন।
  • নেটওয়ার্কে অন্যান্য ডিভাইস কর্তৃক সিগন্যাল জ্যাম তৈরি হতে পারে।
  • ডেটার নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে।
  • নেটওয়ার্কের নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে।

WiFi এর ব্যবহার

  • সীমিত এরিয়ার মধ্যে WiFi প্রযুক্তি ব্যবহার করা সহজ।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারের সুবিধার্থে WiFi প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়।
  • বিমানবন্দর, হটেল, রেস্তোরাতে WiFi প্রযুক্তির সেবা প্রদান করা যায়।
  • ওয়াইফাই র‍য়েছে এরকম সকল ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে ওয়াইফাই খুব সহযে ব্যবহার করা যায়।
  • ওয়াইফাই ব্যবহার করে বর্তমানে এক সাথে কয়েকজন মিলে একই ভিডিও গেম খেলা যায়।

ওয়াই ম্যাক্স (Wi-MAX):

WiMAX হল Worldwide Interoperability for Microwave Access এর পূর্ণরূপ। WiMAX হচ্ছে একটি দ্রুতগতির যোগাযোগ প্রযুক্তি যা প্রচলিত DSL (Digital Subscriber Line) এবং ওয়্যারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে। এই প্রটোকলের ডেটা ট্রান্সফার রেট 30 Mbps থেকে  40 Mbps পর্যন্ত এমনকি স্থির ডিভাইসের ক্ষেত্রে 1 Gbps পর্যন্ত হতে পারে। WiMAX সিস্টেমের প্রধান অংশ দুটি। একটি হল বেস স্টেশন, যা ইনডোর ও আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। অপরটি এন্টেনাযুক্ত WiMAX রিসিভার, যা কোন কম্পিউটারে সংযুক্ত করা হয়।

প্রকারভেদ: ইহা ২ প্রকার

ফিক্সড ওয়াইম্যাক্স ফিক্সড ওয়াইম্যাক্স IEEE ৮০২.১৬ডি স্টান্ডার্ড এর উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।এ’ক্ষেত্রে গ্রাহক প্রান্তে একটি রিসিভার টাওয়ার (এন্টেনা) বসানো হয়। ব্যবহৃত হয় ১০গিগা হা. থেকে শুরু করে ৬৬গিগা হা. পর্যন্ত হাই ফ্রিকেয়েন্সি রেঞ্জ। ফিক্সড ওয়াইম্যাক্সের রেঞ্জ এবং ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বেশি হলেও মোবিলিটি নেই বলে এই পদ্ধতি সাধারণ ব্যবহারকারীদের নিকট জনপ্রিয়তা পায়নি।
মোবাইল ওয়াইম্যাক্স
মোবাইল ওয়াইম্যাক্স IEEE ৮০২.১৬ই স্টান্ডার্ড এর উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।এক্ষেত্রে গ্রাহক প্রান্তে এজ মডেমের মতো একটি ওয়াইম্যাক্স মডেম ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। ২গিগা হা. থেকে শুরু করে ১১গিগা হা. পর্যন্ত লো ফ্রিকেয়েন্সি রেঞ্জে ট্রান্সমিশন হয় বলে ঘিঞ্জি এলাকার গলির প্যাচ অথবা সূর্যের আলোহীন অন্ধকার কোন বাসায় ওয়াইম্যাক্স সিগন্যাল অনায়াসে ওয়াইম্যাক্স মডেম দিয়ে রিসিভ করা সম্ভব হয়। ফিক্সড ওয়াইম্যাক্সের তুলনায় মোবাইল ওয়াইম্যাক্সের ইনডোর ইউনিট অর্থাৎ মডেমের ক্ষেত্রে ইউজারকে ওয়াইম্যাক্স বেজ ষ্টেশনের কাছাকাছি থাকতে হয়।নাহলে রেডিও সিগন্যাল লস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

Wi-MAX-এর বৈশিষ্ট্য

    • এটি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN)
    • নেটওয়ার্ক সংস্থাপন ক্যাবলিংয়ের তুলনায় সহজ এবং সুবিধাজনক।
    •  ব্যান্ডউইথ বা ডেটা ট্রান্সফার রেইট ওয়্যারেড নেটওয়ার্ক বা ক্যাবলিংয়ের তুলনায় বেশি।
    • একইসাথে ওয়্যারেড এবং ওয়ালেস উভয়ই নেটওয়ার্কের সুবিধা প্রদান করে।
    • কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ কি.মি. থেকে শুরু করে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে।
    • ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন উভয়ই হতে পারে।
    • অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ডের জন্য সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমােদন নিতে হয়।
    • সংস্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি।
    • নেটওয়ার্কের জন্য পর্যাপ্ত ইলেকট্রিক্যাল সাপাের্ট থাকতে হয়।
    • বিদ্যুৎ ব্যয় তুলনামূলক বেশি।
    • নেটওয়ার্ক interference বা signal noise কম।
    • ফুল ডুপ্লেক্সিং মােড ব্যবহার করা হয়।
    • একই সাথে মাল্টিফাংশনাল সুবিধা প্রদান করে।
    • কোয়ালিটি অব সার্ভিসের ( QoS ) নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে।
    • মিডিয়া অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের জন্য Request-Grant প্রটোকল থাকে।
    • চ্যানেল নয়েজ (signal-to-noise ratio-SNR) সর্বোচ্চ 7dB (decibel)।
  • চ্যানেল ব্যান্ডউইথ 256 সাব-ক্যারিয়ারের জন্য 1.25 MHz থেকে 28 MHz পর্যন্ত হতে পারে।
  • ২৫৬ চ্যানেলের OFDM অর্থাৎ SOFDMA (Scalable OFDMA) টেকনােলজি এবং MIMO (multiple input and multiple-output) টেকনােলজি ব্যবহার করা হয়।
  • Line-of-sight (LOS) এর ক্ষেত্রে ফ্রিকুয়েন্সির সীমানা 2 GHz থেকে 11 GHZ। তবে non – line – of – sight ( NLOS ) এর ক্ষেত্রে 10 GHz থেকে 66 GHz হতে পারে।

WiMAX এর সুবিধা:

  • Digital Subscriber Line (DSL)ওয়্যারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে।
  • ওয়্যারলেস হওয়ায় পোর্টেবিলিটির সুবিধা পাওয়া যায় এবং WiMAX রিসিভার সহজে বহনযোগ্য।
  • বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের মাধ্যমে শহর এবং গ্রামে পোর্টেবল মোবাইল ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করে।
  • ডেটা ট্রান্সফার রেট 30 Mbps থেকে  40 Mbps পর্যন্ত আর স্থির ডিভাইসের ক্ষেত্রে 1 Gbps পর্যন্ত হতে পারে।
  • WiMAX এর প্রতিটি বেস স্টেশনের কভারেজ এরিয়া 10 কিলোমিটার থেকে 60 কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • প্রতিটি বেস স্টেশন একই সাথে শতাধিক ব্যবহারকারীকে সার্ভিস প্রদান করতে পারে।
  • ডেটা আদান-প্রদান, টেলিযোগাযোগ (Voice over Inteet Protocol -VoIP) এবং আইপি টিভি সার্ভিস (ট্রিপল প্লে) ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে।

 

WiMAX এর অসুবিধা:

  • দূরত্ব বেশি হলে বেস স্টেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হয়।
  • অন্যান্য নেটওয়ার্কের তুলনায় ব্যয়বহুল এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় তুলনামুলকভাবে বেশি।
  • টাওয়ারের কাছে ডেটা ট্রান্সফার রেট 30 Mbps থেকে 40 Mbps পর্যন্ত হলেও কভারেজের সীমানা প্রান্তে গতি 10 Mbps এর কম হয়।
  • নেটওয়ার্কে অন্যান্য ডিভাইস কর্তৃক সিগন্যালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
  • ঝড়-বৃষ্টি কর্তৃক নেটওয়ার্কে সিগন্যাল ট্রান্সমিশনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
  • একই এলাকায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ব্যান্ডউইড্্থ কমে যায়।
  • ডেটা ট্রান্সফার রেট অপটিকাল ফাইবার ক্যাবল বা স্যাটেলাইট মাইক্রো ওয়েভের তুলনায় কম।

ওয়াইম্যাক্স এবং ওয়াইফাই এর পার্থক্য

ওয়াইম্যাক্স এবং ওয়াইফাই একই পর্যায়ের প্রযুক্তি। তবে এদের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। ওয়াইফাইয়ের কাভারেজ ৩০ থেকে ১০০ মিটার। আর ওয়াইম্যাক্সের কাভারেজ প্রায় ৫০ কিলোমিটার। ওয়াইম্যাক্স এবং ওয়াইফাইয়ের চেয়ে বেশি ইউজার একসাথে ব্যবহার করতে পারে। ওয়াইফাই অপারেট করে IEEE ৮০২.১৬ স্টান্ডার্ড এর উপর ভিত্তি করে। এর রেঞ্জ সর্বোচ্চ ৩০০ ফুট ব্যাসার্ধ। মাক্সিমাম স্পীড ৫৪ এমবিপিএএস। অপরদিকে IEEE ৮০২.১৬স্টান্ডার্ড অনুযায়ী ওয়াইম্যাক্স এর রেঞ্জ সর্বোচ্চ ৩০মাইল ব্যাসার্ধ। ডাটা ট্রান্সফার রেট ম্যাক্সিমাম ৭০এমবিপিএস।

 

এনএফসিnfc

এনএফসির পূর্ণ নাম হলো নেয়ার ফিল্ড কমুনিকেশন (Near Feild Communication)। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা কম দূরতের মধ্যে কমুনিকেশন করতে পারে। কম দূরত্ব মানে ৪ সেন্টিমিটার বা ৫ সেন্টিমিটার দূরত্ব বা একদম একসাথে লেগে থেকে। যখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুইটি ডিভাইজের মধ্যে কমুনিকেশন করা হয় সেটি অনেক ফাস্ট হয়ে থাকে। এনএফসির ব্যাবহারে অনেক কম ব্যাটারি ক্ষয় হয় এবং এটি ব্যবহার করা প্রচুর সহজ হয়ে থাকে।

এনএফসির পাঁচটি সেরা ব্যবহার

১। ডাটা ট্র্যান্সফার– প্রথমত  এনএফসির সাহায্যে ডাটা ট্র্যান্সফার  অনেক সহজ। মনে কর তোমার কাছে দুটি এনএফসি অ্যানাবল ফোন রয়েছে। এই অবস্থায়   ফোনদুটিকে একে অপরের অনেক কাছে নিয়ে এসো এবং টাচ কর। এবার টাচ করার সাথে সাথেই আপনার দুই ফোনেই অপশন চলে আসবে। এবার যে ফোন থেকে তুমি কিছু পাঠাতে চাও সেখান থেকে জাস্ট ফাইলটি পাঠিয়ে দাও।

২। ডিভাইজ পেয়ারিং– এটি এনএফসির সবচাইতে ভালো একটি ব্যবহার, একটি ডিভাইজের সাথে আরেকটি ডিভাইজ পেয়ারিং করা।

৩। মোবাইল পেমেন্টস– তৃতীয় সুবিধাটি হচ্ছে তুমি এনএফসির মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবে। আজকাল অ্যান্ড্রয়েড পে অনেক জনপ্রিয় এবং স্যামসাং পে ও অ্যাপেল পে ও অনেক জনপ্রিয়। তো এই সকল পেমেন্ট সিস্টেম এনএফসির উপরই কাজ করে।

৪। এনএফসি ট্যাগ– চতুর্থ নাম্বার ব্যবহার হলো এনএফসি ট্যাগ। এটি অনেক ছোট একটি ডিভাইজ হয়ে থাকে কিন্তু বিভিন্ন আকারের হতে পারে। এবং এই ট্যাগে তুমি অনেক ছোট পরিমানের ডাটা সংরক্ষন করে রাখতে পারো। অনেক ছোট ডাটা। মনে কর তোমার কন্টাক্ট তথ্য অবথা ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হতে পারে আবার  ফোনের সেটিংস ব্যাকআপ হতে পারে। এই ট্যাগ কার্ড গুলো অনেক সহজেই পাওয়া যেতে পারে এবং তুমি বড়ই আরামে এগুলো কনফিগার করতে পার। এখন মনে কর তুমি একটি এনএফসি ট্যাগে তোমার ঘরের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড সেভ করে রেখেছো এবং দেওয়ালে কোথাও চিপকে লাগিয়ে রেখেছো। এখন যদি  ঘরে কোন বন্ধু আসে এবং তোমাকে বলে যে তোমার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড বলতে। তো তুমি জাস্ট তাকে ঐ ট্যাগটি দেখিয়ে দাও এবং যদি যে ঐ ট্যাগে তার এনএফসি অ্যানাবল ফোন টাচ করে তবে সাথেসাথে তার ফোনে পাসওয়ার্ড চলে যাবে এবং তোমার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ককের সাথে কানেক্ট হয়ে যাবে। বন্ধুকে পাসওয়ার্ড বলারও প্রয়োজন পড়বে না।

৫। এনএফসি বিজনেস কার্ড– আজকের শেষ ব্যবহারটি হলো এনএফসি বিজনেস কার্ড। এটি অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যবহার আজকের দিনে। এটি দেখতে একদম  নরমাল বিজনেস কার্ড বা ভিসিটিং কার্ডের মতোই হয়ে থাকে কিন্তু তা এনএফসি অ্যানাবল হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে তুমি তোমার কার্ডে যা তথ্য লিখবে তা তো থাকলোই এবং সাথে তুমি এনএফসি চিপে অনেক তথ্য সংরক্ষন করে রাখে পারবে। সেখানে তোমার কন্টাক্ট নাম্বার,  বিজনেস ওয়েবসাইট লিঙ্ক, ফেসবুক ফ্যান পেজ লিঙ্ক, টুইটার লিঙ্ক, লিঙ্কডইন লিঙ্ক ইত্যাদি রাখতে পারবে।

জিগবি(Zigbee)zigbee

জিগবি হলো তারবিহীন প্যান প্রযুক্তি। এটি অন্যান্য ওয়্যারলেস নেটওর্য়াকের তুলনায় কম খরচ ও ডাটা প্রেরনের হার অনেক বেশী। ইহা একটি নিরাপদ নেটওয়ার্ক সিস্টেম। দৃষ্টি রেখায় ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ডাটা প্রেরন করা যায়। ডাটা ট্রেন্সমিশনের হার ২৫০কেবিপিএস।

ব্যবহার: হোম অটোমেশন, বিল্ডিং অটোমেশন, ধুমপান ও ফায়ার সনাক্তকরণ, অটোমেটিক মিটার রিডিং, মেডিক্যাল ডিভাইসে ডাটা সংগ্রহ ইত্যাদি।

 

Published by Ashofu Uddulah

i am a teacher of abdul odud shah degree college. master trainer BCC Khulna.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.