ওয়েব ডিজাইনের প্রাথমিক ধারনা
একটি উদাহরণ দিয়ে শুরু করি। আমরা সবাই এখন ফেসবুক ব্যবহার করি। ফেসবুকে আমরা একটার পর একটা কাজ করে যাচ্ছি শুধুমাত্র ক্লিক করে। এত সহজ, সুন্দর এবং মজাদার কখন যে সময় ফুরিয়ে যায় টেরই পাইনা। আমাদের ব্যবহৃত ফেসবুক একটি ওয়েব সাইট যা কিছু মানুষ সুন্দর ডিজাইনের মাধ্যমে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন এবং আমরা কি স্বাচ্ছন্দে না ব্যবহার করছি। আমরা যতটা মনিটরে বা মোবাইলের স্ক্রীনে দেখছি তার চেয়ে বেশি কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যা আমরা দেখতে পাচ্ছিনা তা দিয়েই কিন্তু আমাদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলো একধরনের কোড যা ব্রাউজার আমাদের না দেখিয়ে শুধু প্রাপ্ত কমান্ড অনুসারে দ্রষ্টব্য বিষয় গুলো দেখায়। এ কমান্ড গুলোর মাধ্যমে সাইটকে আকর্ষনীয় করে সাজানো হয়। ওয়েব সাইট তৈরী করা এবং চমৎকারভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করার নামই ওয়েব ডিজাইন।
ওয়েব সাইট ডিজাইনের জন্য উপযোগী ভাষাগুলো হল:
- এইচ টি এম এল (HTML)
- সি এস এস(CSS)
- জাভাস্ক্রিপ্ট(Java script)
- পি এইচ পি(PHP)
আমাদের লেখাপড়া শেখার প্রারম্ভে যেমন আমাদেরকে বর্ণমালা শেখানো হয়েছিল ঠিক তেমনি ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে প্রথম পাঠ হিসেবে এইচ টি এম এল(HTML) শিখতে হবে। এইচ টি এম এল শেখা হয়ে গেলে আমরা একটি ওয়েব সাইট তৈরী করতে সক্ষম হব। এরপর যখন সি এস এস শিখব তখন ওয়েবসাইটে প্রাণের সঞ্চার করতে পারব। নানান রঙে মনের মাধুরী মিশিয়ে সাইটকে রাঙিয়ে তুলতে পারব। জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে সাইটকে গতিশীল করে তোলা যায়। আর পি এইচ পি হল সার্ভার বেসিস ওয়েব ল্যঙ্গুয়েজ।
ওয়েব সাইট ডিজাইনের জন্য যা যা লাগবে:
- একটি কম্পিউটার
- একটি ওয়েব ব্রাউজার
- একটি টেক্স এডিটর
- ইন্টারনেট সংযোগ (এটা থাকলে ভালো হয় তবে আবশ্যক নয়)
ওয়েব ডিজাইন :
একটা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে বা এর সাধারন রূপ কেমন হবে তা নির্ধারণ করা বা নির্ণয় করার কৌশলই হলো ওয়েব ডিজাইন ।
ওয়েব ডিজাইনের ইতিহাস: World Wide Web কে সংক্ষেপে www বা w3 বলা হয় যা সাধারণভাবে ওয়েব নামেই বেশি পরিচিত। এটি ইন্টারনেটে আন্ত:সংযোগকৃত হাইপারটেক্সট ডকুমেন্টসমূহ সম্বলিত একটি পদ্ধতি। ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে যে কেউ ওয়েব পেজসমূহ প্রদর্শন করতে পারে যেটি টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও এবং অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্টগুলো বহন করে। হাইপারটেক্সট সিস্টেমগুলোর ধারণাকে কাজে লাগিয়ে ইংরেজ পদার্থবিদ স্যার টিম বার্নার্স লি (Sir Tim Berners-Lee) যিনি বর্তমানে World Wide Web কনসোর্টিয়াম এর ডিরেক্টর তিনি ১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে একটি প্রস্তাব লিখেন যা পরবর্তীতে World Wide Web এ রূপ লাভ করে। সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভাতে অবস্থিত ‘ইউরোপিয়ান অর্গাজাইনেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ‘ যা CERN নামেই বেশি পরিচিত সেখানে কাজ করার সময় তিনি বেলজিয়াম কমপিউটার বিজ্ঞানী রবার্ট কাউলিয়াউ এর সাথে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালে তারা HyperText to link and access information of various kinds as a web of nodes in which the user can browse will’ নামে একটি প্রস্তাব রাখেন এবং ওই বছরের ডিসেম্বরেই সেই ওয়েবটি রিলিজ করেন। ১৯৯৩ সালে তৈরী হয় মোজাইক ওয়েব ব্রাউজার যা unix based। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় www কনসোর্টিয়াম যা নেটস্কেপ কমিউনিকেশন কর্পোরেশন নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৯৬ সালে শুরু হয় Browser War।
ওয়েবপেজ:
ইন্টারনেট তথা ওয়েবে তথ্য (লেখা, অডিও, ভিডিও, স্থির চিত্র, অ্যানিমেশন ইত্যাদি)সংবলিত পেজ রাখা যায় । বর্তমানে সারা বিশ্বে ব্যাক্তি এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্য ওয়েবে পরিবেশন করছে । ওয়েবে এরূপ কোন তথ্য রাখার পেজকে ওয়েবপেজ বলে । সরাসরি এইচটিএমএল এর মাধ্যমে বা অন্যকোন টুলস দারা ওয়েবপেজ তৈরি করা যায় । ব্রাউজারের মাধ্যমে ওয়েবপেজকে প্রদর্শন করা যায় । একটি ওয়েবসাইটের যে কোন একটি সিঙ্গেল পেজকে ওয়েবপেজ বলে ।
ওয়েবসাইট:
একই ডোমেইনের অধীনে একাধিক ওয়েবপেজের সমষ্টিই ওয়েবসাইট ।
ওয়েবসাইটে প্রথম ঢুকলে যে পেজটি প্রদর্শিত হয় সেটিকে হোমপেজ বলা হয় । সারা বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে । ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইট খুলতে যা যা করতে হয়ঃ
১। প্রথমত একটি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ।
২। ভালো মানের হোস্টিং ভাড়া নিতে হবে ।
৩। ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে ।
ওয়েবসাইট থাকার সুবিধা:
বর্তমানে ইন্টারনেটের এ যুগে সবচেয়ে স্বল্প খরচে তথ্য প্রকাশ করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম ওয়েবসাইট ।
ওয়েবসাইটের বহু সুবিধা রয়েছে । যেমন –
স্বল্প ব্যয়ে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য ওয়েবসাইট ব্যাবহার করতে পারে ।
প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে অনেক কম খরচে আকর্ষণীয় সাইট তৈরি করা যায় ।
- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য যে কেও যেকোন স্থান থেকে যে কোন সময় দেকতে পারে ।
- ওয়েবসাইটে তাৎক্ষনিক তথ্য প্রকাশ করা যায় ।
- ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ডাউনলোড করা যায় ।
- ওয়েবসাইটে লেখা, অডিও, ভিডিও, স্থির চিত্র, অ্যানিমেশন ইত্যাদি যুক্ত করা যায় ।
- যে কোন বিষয় সম্পর্কে ব্যবহারকারীর নিকট থেকে মতামত জানা যায়।
- ঘরে বসে প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়।
- বিশ্বের বড় বড় লাইব্রেরীর বই পড়া যায়।
- কোন প্র্রতিষ্ঠানে না যেয়ে ঘরে বসে ফরম পূরণ করা যায়।
- পরীক্ষার ফলাফল গ্রহন করা যায়।
- ঘরে বসে প্লেন, ট্রেন ও বাসের টিকিট ক্রয় করা যায়।
- সামাজিক যোগাযোগ ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দুরবর্তী অপরিচিত মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা যায়।
- হসপিটাল ও হোটেলের বুকিং দেওয়া যায়।
- সচেতনতামূলক কার্যক্রম ওয়েবে প্রকাশ করে জনমত সৃষ্টি করা যায়।
- গবেষণামূলক কাজে ওয়েবে অনেক তথ্য পাওয়া যায়, প্রয়োজনে দেওয়া যায়।
হোমপেজ:
কোন ওয়েব সাইট ওপেন করলে প্র্রথম যে পেজ প্র্রদর্শিত হয় তাকে হোমপেজ বলে।
ওয়েব ব্রাউজার
ওয়েব ব্রাউজার হল একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যেকোন ওয়েবপেইজ, ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড-ওয়েবে(W.W.W.) অথবা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে অবস্থিত কোন ওয়েব সাইটের যেকোনো তথ্য দেখতে ও অনুসন্ধান করতে পারে। এক কথায় বলা যায় ওয়েব ব্রাউজার হল একটা ওয়েব পেজ দেখার বাহক মাত্র। ব্রাউজারের মাধ্যমে একটি ওয়েবপেজ থেকে অন্য একটি ওয়েবপেজে চলাচল করার পদ্ধতিকে ব্রাউজিং বলে।
কয়েকটি জনপ্র্রিয় ব্রাউজারের নাম:
ওয়েব সার্ভার (Web Server) :
সার্ভার বিভিন্ন প্রকারের হয় যেমন ওয়েব সার্ভার , এন.এন.পি.টি সার্ভার , ডাটাবেজ় সার্ভার , এফ.টি.পি সার্ভার ইত্যাদি । ওয়েব সার্ভার হল এমন এক
প্রকারের সার্ভার যা html বা css বা php ইত্যাদি হাইপার টেক্সটের সাথে সংযুক্ত ফাইল গুলোকে ক্লাইন্ট হোস্টে প্রেরন করে। মুল কথা হল কোন ওয়েব সাইট কে যেখানে হোস্ট করা হয় তাকে ওয়েব সার্ভার বলে । বর্তমানে অনেক প্রকারের ওয়েব সার্ভার দেখা যায় , যেমন মাইক্রোসফট এর আইআইএস বা IIS সার্ভার বা লিনাক্স এর Apache . এবং সকল প্রকার ওয়েব সার্ভার এ http protocol ব্যবহার করা হয় ।
আর এক প্রকারের সার্ভার আছে তার নাম এন.এন.টি.পি. সার্ভার , এর পূর্ন নাম হল Networks news transfer protocool বা NNTP সার্ভার । এই সার্ভার এর মাধ্যমে তোমরা ইন্টানেট এর খবর পড়তে এবং কোন খবর প্রকাশ করতে পারবে।
প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে সার্ভার বিভন্ন রকমের হতে পারে । যেমন,
- FTP Servers : এই প্রোগ্রাম টি ফাইল ট্রান্সফারের কাজে ব্যবহার করা হয় ।
- Web Servers : ওয়েব সাইট host করা , ওয়েব সাইটের বিভিন্ন ফাইল লোড করা এবং সেগুলো ব্রাউজারে দেখানোর কাজে এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
- Mail Servers : E-mail communication এ ব্যবহার হয়ে থাকে ।
এছাড়া আরো কিছু সার্ভারের নাম নীচে দেওয়া হলো।
- ডাটাবেজ সার্ভার,
- ফাইল সার্ভার,
- মেইল সার্ভার,
- প্রিন্ট সার্ভার,
- ওয়েব সার্ভার,
- গেমিং সার্ভার ,
- এ্যাপ্লিকেশন সার্ভার।
- Apache web server
- Apache Tomcat
- Microsoft’s Internet Information Services (IIS) Windows Server
- Nginx web server
- lighttpd
- Klone
- Oracle Web Tier
আইপি এড্রেস (IP Address):
আইপি এড্রেস(IP Address) এর সম্পূর্ন ইংরেজী অর্থ হচ্ছে Internet Protocol Address. ভার্চুয়াল জগৎ থেকে তুমি যে তথ্য নিচ্ছো তার উপর ভিত্তি করে আইপি এড্রেস হচ্ছে একটি অদ্বিতীয় ঠিকানা। অর্থাৎ তুমি যে আইপি এড্রেসটির মালিক তা আর কারও কাছে নেই। তোমার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এই আইপি এড্রেস এর মাধ্যমেই অবগত থাকেন, তিনি তোমার কাছে যে তথ্য পাঠাচ্ছে এবং তুমি তা যথাযথভাবে পাচ্ছো।
তোমার নিজের আইপি এড্রেস দেখা জন্য নিম্নোক্ত নিয়মগুলো অনুসরন কর :
- প্রথমে Start->Run->খালি ঘরে লেখ cmd (command)
- এবার কী-বোর্ড থেকে এন্টার চাপ দাও।
- একটি কমান্ড এরিয়া দেখতে পাবে। সেখানে লেখ netstat
- এন্টার চাপো। একটি লিস্ট তোমার সামনে আসবে। লোকাল এড্রেসের দিকে খেয়াল কর। যেটি প্রথমে আসবে সেটিই তোমার আইপি এড্রেস।
বিশ্বের প্রতিটি মানুষের নিজের পরিচয়ের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নাম আছে। এক নামে এক গ্রামে বা দেশে একাধিক লোক থাকতে পারে, কিন্তু প্রত্যেক মানুষের জন্যই আলাদা-আলাদা ঠিকানা থাকে। টেলিফোনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ফোন সেটের জন্য যেমন একটি নম্বর আছে তেমনি ইন্টারনেটে প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি আইডিন্টিটি থাকে যা আইপি (Internet protocol) অ্যাড্রেস নামে পরিচিত।
আইপি (Internet protocol) অ্যাড্রেস প্রকাশের জন্য মোট ৪টি অকটেট ( ৮ বিটের বাইনারী ) সংখ্যা প্রয়োজন। কাজেই সম্পূর্ণ ঠিকানা প্রকাশের জন্য ৩২ বিট প্রয়োজন। প্রতিটি অকটেট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। আইপি অ্যাড্রেসের প্রথম ২টি অকটেট নেটওয়ার্ক আইডি এবং পরের ২টি অকটেট হোস্ট আইডি প্রকাশ করে।
বাইনারি সংখ্যা মনে রাখা কষ্টকর এজন্য বাইনারি সংখ্য্যার পরিবর্তে দশমিক সংখ্যা দিয়েও আই পি এড্র্রেস প্রকাশ করা হয়।
আইপি ক্লাস :
টিসিপি/আইপি নেটওয়ার্কে প্রতিটি হোস্টকে একটি নম্বর দিয়ে নির্দেশ করা হয়। এই নম্বরেই হলো আইপি যা ৩২ বিটের হয়ে থাকে । এই ৩২ বিট, ৮ বিট করে ৪টি ভাগে ভাগ করা থাকে ।
ক্লাস-A
শুরু : ০০০০০০০০=০ শেষ : ০১১১১১১১=১২৭
যেসব আইপি এড্রেসের প্রথম বিট শুন্য(০) সেগুলো ক্লাস এ এর অর্ন্তগত। এধরনের আইপি এর ক্ষেত্রে প্রথম ৮ বিট নেটওয়ার্ক আইডি আর বাকি ২৪ বিট হোস্ট আইডি।
ক্লাস-B
শুরু : ১০০০০০০০=১২৮
শেষ : ১০১১১১১১=১৯১
এই ক্লাসের আইপি এড্রেসের প্রথম দুইটি বিটের মান হবে ১০। এধরনের আইপি এর ক্ষেত্রে প্রথম ১৬ বিট নেটওয়ার্ক আইডি আর বাকি ১৬ বিট হোস্ট আইডি।
ক্লাস-C
শুরু : ১১০০০০০০=১৯২
শেষ : ১১০১১১১১=২২৩
এই ক্লাসের আইপি এড্রেসের প্রথম তিনটি বিটের মান হবে ১১০। এধরনের আইপি এর ক্ষেত্রে প্রথম ২৪ বিট নেটওয়ার্ক আইডি আর বাকি ৮ বিট হোস্ট আইডি।
ক্লাস-D
এটি একটি বিশেষ ধরনের ক্লাস যাকে বলা হয় মাল্টিকাস্ট নেটওয়ার্ক। কোন হোস্ট নেটওয়ার্কের সকল রাউটারকে খুজে পাওয়ার জন্য এধরনের আইপি ব্যবহৃত হয়। এই ক্লাস শুরু হয় ১১১০০০০০০= ২২৪ এবং শেষ হয় ১১১০১১১১= ২৩৯ পযর্ন্ত।
ক্লাস-E
এই ক্লাসের আইপি গুলো সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষনা কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ক্লাস শুরু হয় ১১১১০০০০=২৪০ থেকে ১১১১১১১১=২৫৫ পযর্ন্ত।
আইপি এড্রেস Group:
Internet Assigned Number Authority (IANA) – IP Address assign একটি সংস্থা। এরা IP Address সমূহকে দুটি প্রধান গ্রুপে বিভক্ত করেছে।
(১)পাবলিক IP
(২)প্রাইভেট IP ।
পাবলিক IP:-যে সমস্ত IP Address Internet এ ব্যবহার করা হয় তাদেরকে পাবলিক IP বলে। একে রিয়েল IP ও বলা হয়। Internet এ ব্যবহারের জন্য (IANA) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে একগুচ্ছ করে IP Address দিয়ে থাকে। Internet এ যত সার্ভার ID রয়েছে তা পাবলিক IP বা রিয়েল ID ব্যবহার করে থাকে।
প্রাইভেট IP:-Internet এ কখনই ব্যবহার করা হয়না এমন কিছু IP Address (IANA সংস্থা ) রিজার্ভ করে রেখেছে। Internet এ কোন Host কে এই IP Address দেওয়া হয়না। তাই এগুলো ভবিষ্যতে প্রাইভেট Network এ ব্যবহার করার জন্য রিজার্ভ করে হয়েছে।
এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো পাবলিক আইপি ইন্টারনেটে ব্যবহার হয় অন্যদিকে প্রাইভেট আইপি ইন্টারনেটে ব্যবহার হয় না।