বিশ্বগ্রাম ও বাংলাদেশ (Global Village And Bangladesh)

বিশ্বগ্রামের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ খুব সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেনি। তবে আয়তনে ছোট দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যে অবস্থান সৃষ্টি করে নিয়েছে, তা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট এই দেশটি মাত্র ১৯৯৬ সালে যোগাযোগ প্রযুক্তির মহাসড়ক ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বিগত দুই দশকে অনেক উন্নতি করেছে। যোগাযোগপ্রযুক্তির সবচেয়ে উন্নত মাধ্যম সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে ২০০৪ সালে। যদিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো শক্তিশালী নয়, তার পরও বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে গণ্য করতে বাধ্য করছে। বিগত এক দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নতির দিক হলো মোবাইল কমিউনিকেশন। এই খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত অগ্রসরমাণ দেশ। এ দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এবং ৯৫ শতাংশ এলাকা বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মুদ্রণ ও সম্প্রচার মাধ্যমের পাশাপাশি অনলাইন মিডিয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০১২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেটের আওতায় আছে ২০ শতাংশের বেশি পরিবার। তবে এ হার মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও উল্ল‌েখ করা হয়, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার দ্রুত বাড়ছে।তবে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সহজলভ্য ও দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যমে হচ্ছে ইন্টারনেট।এই খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ততটা দৃঢ় না হলেও এই খাতে খুব শিগগির বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বগ্রামের অন্যতম অংশীদার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে। আর এ ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষিত ও প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ ও যুবশক্তি।